শুরু হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ
২০০৮ সালে সেতুটিতে প্রথম বার ফাটল দেখা দেয়, এর পর থেকে এতে রেল চলাচলের গতিও কমিয়ে আনা হয়। এখন সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার গতি দিয়ে এই সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল করে। প্রতিদিন ২২ টি ট্রেন চলার কথা থাকলেও এখন চলে ৪৪ টি ট্রেন। অনেকটাই ঝুকি নিয়ে।
এত সব জটিলতা নিরসনে ২০১৬ সালে যমুনা নদীতে বর্তমান সেতুর পাশে উক্ত নদীতে ৩০০ মিটার উজানে একটি বিশেষায়িত রেল সেতু নির্মানের চুড়ান্ত করে সরকার। ৪.৮ কিলোমিটার দৈশ্যের ডুয়েল গেজের ডাবল ট্রাকের সেতু দিয়ে নির্মান করা হবে শুধুমাত্র ট্রেন চলাচলের জন্য।
এই সেতুটি নির্মোনে করিগরী ও আর্থিক সহায়তা দেবে সহযোগীতা সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সী জাইকা। সেতুর দুইপ্রান্তে ০.৫ কিলোমিটার ভায়াডাট, প্রয়োজনীয় রেলওয়ে এপরোচ সহ মোট ৩০ কিলোমিটার নতুন লাইন নির্মান করা হবে।
বর্তমানে বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুটিতে সিঙ্গেল লাইনের সিমাবদ্ধতায় রেল ক্রসিংয়ের জটিলতায় সেতু পার হতে ট্রাফিক সিগনালে নষ্ট হয় যাত্র পথের বড় একটা সময়। ডাবল লাইনের নতুন সেতুটি নির্মান সম্পন্ন হলে ১০০ কিলোমিটার গতিতে যমুনা নদী দিয়ে পার হবে ট্রেন। এছাড়া বন্ধ করে দেওয়া হবে বর্তমান সেতুটির রেল ট্র্যাকটি।
২০২৪ সাল নাগাদ এই প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন নীতিনির্ধারকরা। শুধু অভ্যন্তরীন রেল ব্যবস্থাই নয় সার্ক, বিনস্ট্যাক সহ আঞ্চলিক, উপ আঞ্চলিক এবং ট্রানজেশিয়ান রেলওয়ের সুবিধাও পাবে দেশের মানুষ। পাশাপাশি আর্থিকভাবেও সতুন সম্ভাবনা হবে এই কৌশলগত স্থাপনাটি।